১০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে রোগী ১৫৪
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে জুন মাস থেকেই রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতালে ১৫৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় দুইজনের এবং উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। আর ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৬ জনের।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকালে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আরএমও সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেহেতু এখানে ১০০ বেড রয়েছে, তাই অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের ফ্লোরে রেখে সেবা দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫১ জন রোগী ভর্তি ছিল। তা বেড়ে এখন ১৫৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগী ১২৪ এবং বাকি ৩০ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিইউতে ২০ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোন ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৬ জন। এরমধ্যে করোনায় দুইজন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা বলেন, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ১৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।
মোহাম্মদ মিলন/এসএমআর