মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আল-আমিন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের মামলায় ২ নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে আড়াই মাসেও গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে। অদৃশ্য কারণে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আলী আকবার। 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) মামলার বাদী আহত আল-আমিনের বাবা আলী আকবার অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আড়াই মাসেও গ্রেফতার হয়নি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে।

এ ব্যাপারে আল আমিন বলেন, এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত ২৮ মার্চ রাতে তাকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মজিদ ও আলমসহ একদল যুবক। এরপর ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয় আমাকে। পরে আমার বাবা ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। মামলায় ইউপি চেয়াম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে সানি হাওলাদার আসামি হলেও দীর্ঘ আড়াই মাসেও তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

আল আমিননের বাবা আলী আকবার জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের লোকজন তার ছেলেকে মিথ্যা দোষারোপ করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মামলা করলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যানের লোকজন মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, তার নামে মারধরের অভিযোগে মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আবীর হাসান/এসপি