রেহানা বেগম

মধ্যপ্রাচ্য ও উন্নত কয়েকটি দেশে ভালো বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিত প্রতারক চক্রটি। পরে বিদেশে না পাঠিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে চক্রটির এক নারী সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৪।

এ সময় ভুক্তভোগী এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৪-এর সিনিয়র সহপুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে সাভারের আমিনবাজার এলাকার বড়দেশী গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রেহানা বেগমকে (২২) আটক করা হয়েছে। এ সময় তার স্বামী মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেন পালিয়ে যায়।

র‍্যাব জানায়, পলাতক আসামি জাকির হোসেন অল্প বয়সী কিশোরীদের উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি করে আসছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রেহানা জানায়, ভুক্তভোগীকে বিদেশে চাকরির দেওয়ার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিশোরীকে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা একটি রুমে তালাবদ্ধ করে ৪ মাস ধরে আটকে রাখেন। এ ৪ মাসে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী এখন ২ মাসের গর্ভবতী।

র‍্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১, মিরপুর) মেজর মোহাম্মদ কামরুল বলেন, আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারি মাসে ভুক্তভোগী নারীকে বিদেশে গার্মেন্টন্সে চাকরির কথা বলে নিয়ে আসে। পরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। তাদের ঘর থেকে একটি ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে। সেখানে অনেক কাস্টমারের লিস্ট পাওয়া গেছে। মূলত জাকির এই অপরাধের মূল হোতা।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর