ভারতে পাচারের শিকার তিন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে উদ্ধারের দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। রোববার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার জরিকদাঙ্গী গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার হঙ্গানগর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে ইলাহী মিয়া (৪০) এবং খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার পারহাজী গ্রামের দীন মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৩০)। 

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মজিবার রহমান জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসা তিন বাংলাদেশির মধ্যে এক নারীকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থার হেফাজতে ও দুই পুরুষকে পোর্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার ফিল্ড অফিসার রোকেয়া বেগম জানান, ভাল কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এরা ভারতে যায়। তবে পাচারকারীরা তাদের ভাল কাজ না দিয়ে মুম্বাই শহরে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে।

পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। করোনার ভয়াবহ পরিস্থির মধ্যে তারা ভারত থেকে আসায় বেনাপোলের চৌধুরী আবাসিক হোটেল ও পুরুষ দুইজনকে যশোর গাজীর দরগা মাদরাসায় ১৪ দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত হলে পরিবারের কাছে তাদের পৌঁছে দেওয়া হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, পাচারের শিকার নারী-পুরুষরা যদি অপরাধীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চাই তাহলে তাদের আইনি সহয়তা করা হবে।

আতাউর রহমান/এসপি