৫টা থেকে দোকান বন্ধ, ৬টা থেকে যান
সোমবার (৭ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী নগরীর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে থ্রি-হুইলার বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জরুরি বৈঠক শেষে রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান মেয়র লিটন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের দফতরের সম্মেলন কক্ষে ওই বৈঠক শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় মেয়র লিটন ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র লিটন বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। এটি অস্বীকার করছি না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে করোনা রোগী চিকিৎসায় আসছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই শক্তিশালী। যখন এইটা আক্রমণ করছে, তখন ফুসফুস অকার্যকর করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু মাথায় রেখেই প্রথম পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবকিছু বন্ধ ছিল। আজকের বৈঠকে সেটি এগিয়ে বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা করা হয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ থাকবে। বিকেল ৬টার পর থেকে থ্রি-হুইলার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী জেলায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের কথা জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, জেলার গোদাগাড়ী, তানোর এবং মোহনপুর থানা এলাকার ভেতর দিয়ে যেন মানুষ কোনোভাবেই রাজশাহী নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে নজর রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
কঠোর লকডাইনে যেতে আরেকটু সময় চান মেয়র লিটন। তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে ৫ দিন ঘোষিত বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই কয়েক দিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার না কমলে পরের সভায় অন্তত ১৪ দিনের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউন দেওয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর