স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া করোনা আটকানো সম্ভব নয় : সেব্রিনা ফ্লোরা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, কোন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হচ্ছে সেটি বড় কথা কথা নয়। এমনকি সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে না জানলেও চলবে। মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া করোনার সংক্রমণ আটকানো যাবে না। মাস্ক ব্যবহার করলে সব ধরনের ভ্যারিয়েন্ট থেকেই রক্ষা মিলবে।
রোববার (০৬ জুন) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েকটি কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করে, ঈদের সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘরে ফেরা ও ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে চলাফেরা করার কারণেই জেলায় সংক্রমণ বেড়েছে। তবে সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়লে তখন আর রোধ করা সম্ভব নয়। আমরা দেখেছি, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর করোনা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখনই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। অতি প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে পারলে সুফল মিলবে।
সরকারি সফরে বিকেল ৩টায় তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম ঘুরে দেখেন। এ সময় জেলার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল সার্জন, হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এবং হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন।
জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর/জেএস