করোনার ‘হটস্পট’ নাটোরের ৭ মহল্লা
নাটোরে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার সাতটি মহল্লা। মহল্লাগুলো হলো নিচাবাজার, লালবাজার, কাপুড়িয়া পট্টি, পটুয়াপাড়া, কান্দিভিটা ও মল্লিকহাটি। এই মহল্লাগুলোতে অন্য এলাকার চেয়ে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এসব মহল্লায় করোনা নিয়ে সচেতনতার জন্য মাইকিং ও মাস্ক বিতরণ করছে পৌরসভা।
এদিকে বুধবার (২ জুন) নাটোরে নতুন করে আরও ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮০০। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির বিশেষ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিশেষ লকডাউনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নাটোরের প্রশাসন। বৈঠকের পর লকডাউন না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়নসহ নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে শতকরা ৫৩ ভাগে ওঠে যাওয়ায় জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গলি পথগুলোতেও অবস্থান নিয়ে অবাধ চলাচল সীমিত করে দেয় পুলিশ।
সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নাটোর পৌর এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে। আমরা পরামর্শ দিচ্ছি ওই সব এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনা বৃদ্ধি করার জন্য। এছাড়া সীমিত আকারে লকডাউন করা যেতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, সিভিল সার্জন অফিস থেকে পৌর এলাকার যে সব জায়গায় বেশি সংক্রমণ, সে সব এলাকার মানুষের সচেতন করার জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মাস্ক ছাড়া কোনো ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া শহরের ছোট ছোট যানবহান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা আরও কয়েকটা দিন সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তাছাড়া শহরের দোকানপাটগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তাপস কুমার/এমএসআর