যে কারণে আইসোলেশন থেকে পালিয়েছিলেন করোনা রোগী
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ থাকায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল আঙ্গুরা বেগমের (৫৫)। রিপোর্ট পজিটিভ আসে রাজশাহীর চারঘাট পৌর সদরের একটি গুচ্ছগ্রামের এই বাসিন্দার। সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখে উপজেলা স্বাস্থ্য দফতর।
কিন্তু এই রিপোর্ট মানতে চাননি আঙ্গুরা বেগম। তার দাবি, সেই রিপোর্ট ভুল। তিনি সুস্থ আছেন। আর তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে আইসোলেশন সেন্টার ছেড়ে বাড়ি চলে যান।
বিজ্ঞাপন
ঘটনা জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়। পরদিন মঙ্গলবার (১ জুন) ওই নারীকে তার বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়। এখন তিনি আইসোলেশন সেন্টারেই রয়েছেন।
আঙ্গুরা বেগমের স্বজনদের ভাষ্য, করোনা সম্পর্কে অজ্ঞতা থেকেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে বুঝিয়ে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে ফেরেননি বলে জানিয়েছেন চারঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ওই নারী তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দাবি করছিলেন। তার ভাষ্য, তার আসলে কিছুই হয়নি। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
গোপনে আইসোলেশন থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। পরে হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে লোকজন পাঠানো হয়। বুঝিয়েও তিনি আসতে রাজি হননি। শেষে স্থানীয় কাউন্সিলর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ঝুঁকি বিবেচনায় তাকে আইসোলেশনে যেতে বাধ্য করেন।
ডা. আশিকুর রহমান আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। এখানে পাঁচজনকে আসোলেশনে রাখা যাবে। এখন ফিরিয়ে আনা এই নারী ছাড়াও আরেকজন পুরুষ করোনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন।
এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা রোগীরা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
ফেরদৌসি সিদ্দিকী/এসপি