দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা : একজনের ফাঁসি তিনজনের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসি এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) শারমিন নিগার এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সায়েদ পাংশা উপজেলার কুটিমালিয়াট গ্রামের বশারত হোসেনের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলাল, মহির ও রনি। তাদের সবার বাড়ি একই গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৫ মে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কুটিমালিয়াট গ্রামে আট বছরের রুমাকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর রাজবাড়ীর পাংশা থানায় মামলা হয়। ২০১০ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে এক নারীসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার প্রধান আসামি সাঈদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন আদালত। তিনি শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
মামলায় আলাল, রনি ও মহির খাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত না থাকায় শুক্কুর মোল্লা ও রোজিনাকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি উমা সেন বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রধান আসামি সায়েদকে ফাঁসি ও আলাল, মহির এবং রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এএম