অবৈধ ২ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন, ২০ লাখ টাকা জরিমানা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন আমানত ব্রিকস ও যমুনা ব্রিকসকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে আমানত ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও যমুনা ব্রিকসের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নের চর বজলুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা করা হয়। 

সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছেং মং রাখাইন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে যমুনা ব্রিকস ও আমানত ব্রিকসকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে এ দুইটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেনি। তাই এসব অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ সংশোধনী আইনে ২০১৯ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী আমানত ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং যমুনা ব্রিকসের মালিক আব্দুল্যা আল মাসুমের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সর্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের আলোকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইটভাটা দুটি বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি অর্থদণ্ড ও নিয়মিত প্রদান করা হয়। এরা আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছেং মং রাখাইন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও  জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে ইটভাটা দুটির কিলন ও চিমনী ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করা হয়। এ সময় যমুনা ব্রিকসের মালিক/প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় নিয়মিত মামলার আদেশ দেওয়া হয় এবং মেসার্স আমানত ব্রিকসের মালিককে বিশ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান পরিচালনার সময় নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব, সেনা সদস্য, সুবর্ণচর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/আরকে