রাজবাড়ীতে তিন ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা, মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে

রাজবাড়ীর কালুখালীতে তিন মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩) নামের এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে কালুখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন খুলনার পাইকগাছা থানার সোনাতন কাঠি গ্রামের বেলজার হোসেন ছেলে। তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া কামিয়া দারুল উলুম কওমি মাদরাসার শিক্ষক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তিন বন্ধু কালুখালীর হরিণবাড়িয়া এলাকার কামিয়া দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় নাজেরা শাখায় লেখাপড়া করে। ওই মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১২টার দিকে ভুক্তভোগী এক ছাত্রকে (১৪) মাদরাসা ভবনের ২য় তলার একটি রুমে নিয়ে ওই শিক্ষক জোরপূর্বক বলাৎকার করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে আসে।

এর আগে ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী আরেক ছাত্রকে (১২) মাদরাসার নিচতলায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষক বলাৎকার করার চেষ্টা করলে তার ঘুম ভেঙে গেলে সে সেখান থেকে পালিয়ে চলে যায়।

অপরদিকে গত ১৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসার নিচতলায় ভুক্তভোগী অপর ছাত্রকে (১২) একা পেয়ে তাকেও বলাৎকারের চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, শিক্ষ‌ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই তিন শিশু‌ ছাত্রকে গত তিন মা‌স ধ‌রে বি‌ভিন্ন বাহানায় তার রু‌মে ডে‌কে বলাৎকারের চেষ্টা ক‌রে। ভ‌য়ে ওই শিশুরা তাদের পরিবারকে কিছু না জানা‌লেও স্থানীয়রা টের‌ পে‌য়ে ওই শিক্ষ‌ককে আটক ক‌র‌লে তিনি দোষ স্বীকার ক‌রেন। প‌রে তা‌কে পু‌লি‌শের কা‌ছে তু‌লে দেয় স্থানীয়রা। পরবর্তীতে এক ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বলাৎকার চেষ্টার মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমজেইউ