সিলেটে সিভিল এভিয়েশন কর্মচারীদের বিক্ষোভ

বিমান বাহিনী থেকে প্রেষণে ৭০ ভাগ লোকবল নিয়োগ বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা করেছেন সিভিল এভিয়েশন সিলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

‘দখলদার হঠাও, সিভিল এভিয়েশন বাঁচাও’ সম্বলিত ব্যানারে আরও লিখা ছিল-সিভিল এভিয়েশনকে গ্রাসের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ বাহিনী কর্তৃক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তথাকথিত ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স’ (BASF) গঠনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তারা বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের প্রস্তাব বাতিল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবি জানান।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক) বিভাগকে অকার্যর করার সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। বেবিচোকের অর্গানোগ্রাম পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রতিষ্ঠানটির কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে, বেবিচোকের অধীনে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এ্যাক্টের আওতায় সবচ জনবল প্রত্যাহার করতে হবে। ১০ সদস্যের পরিচসলনা পর্ষদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ওর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, অতি গোপনে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের প্রস্তাব তৈরি করার কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই পদক্ষেপেরে কারণে বেবিচকের সকল বিমানবন্দরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটি পরিকল্পনা বলে মনে করেন তারা।

তাদের মতে, এ প্রস্তাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে ৭০ শতাংশ লোকবল আসবে প্রায় ৭ হাজার জনবল বেবিচকসহ দুই প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা পাবে। দুই প্রতিষ্ঠান দখল করে রাখবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো নিম্নমুখী হবে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন সেখানে দুটি তত্ব হলো শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্রতা। যদি বেবিচকের নিজস্ব জনবল নিয়োগ না দিয়ে বাহিনী থেকে জনবল নিয়ে আসে, তাহলে তারা একাধিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক পদে বহাল থাকলে নতুন জিরো তত্ত্বের পরিপন্থী। এমতাবস্থায় বাহিনী থেকে জনবল না এনে বেবিচকের নিজস্ব স্থায়ী জনবল নিয়োগ দিতে তাদেরকে পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিমানবন্দরের যথাযথ মানোন্নয়নে কাজ করার দাবি জানান। মানববন্ধনে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

মাসুদ আহমদ রনি/এমএএস