নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, প্রশাসন একতরফা তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাকে ও আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবকে সরিয়ে একরামের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে কিছু দূরত্ব ছিল তাও কেটে গেছে। রোববার (৩০ মে) সকাল ৯টায় বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় কাদের মির্জা বলেন, গতকাল বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে প্রশাসনের সামনে বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী দ্বারা আমার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে আমার ১৫ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। আমার দুইজন নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। 

তিনি বলেন, আমার ৯ তারিখ আমেরিকায় যাওয়ার কথা ছিল। আমি মরে গেলে এ দেশে চিকিৎসা করে মরে যাব। দরকার হলে আমেরিকা যাব না। তাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।

সমাবেশের আগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে প্রত্যাহারের দাবিতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন এলাকা প্রাদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাদের মির্জার লোকজন পৌরসভা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিরোধী পক্ষের লোকজন গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হন।

আহতরা হলেন- পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), নওশাদ (৩৫), সামছুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫) এবং মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২)।

এদিকে গতকাল রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে ইউএনও, এসি ল্যান্ড, ওসি ও এডিশনাল এসপি শামিমকে প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আবদুল কাদের মির্জা। প্রত্যাহার না করা হলে কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণাও দেন তিনি।

হাসিব আল আমিন/এসপি