করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও নয়জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

করোনায় প্রাণ হারানো চারজনের দুজনই রাজশাহী বিভাগে করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। এ ছাড়া রাজশাহী জেলার একজন এবং নাটোরের আরেকজন করোনায় মারা গেছেন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে তারা হাসপাতালে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নয়জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্য ৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ২২, ২৫, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মারা গেছেন।

এই এক দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা চারজনের মৃত্যু হয়েছে রামেক হাসপাতালে। যাদের দুজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। অন্য দুজনের মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। অন্য দুজন করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন রামেক হাসপাতালে।

তিনি বলেন, মৃত্যুর পর সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে এসেছেন ১৭৭ জন। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭২ জনের। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তারা।

তিনি জানান, এর বাইরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ১৩ জন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার পর থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আটজন প্রাণ হারান। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বাসিন্দা। সন্দেহভাজন করোনা রোগী হওয়ায় করোনায় মৃতের তালিকায় তাদের নাম ওঠেনি বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ