আওয়ামী লীগ নেতা সভাপতি প্রার্থী, মৌলভীবাজার বারের নির্বাচন স্থগিত

মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা ও মামলার আসামি প্রার্থী হওয়ায় জেলা বারের নির্বাচন স্থগিত কর হয়েছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিবাদ ও আল্টিমেটামের মুখে এ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জি.পি মামুনুর রশীদ।

এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা বার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা। 

এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এএসএম আজাদুর রহমান আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন, এমন খবর প্রকাশের পর প্রতিবাদ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

নির্বাচন কমিশনার ও জি.পি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ বলেন, এস এম আজাদুর রহমান একটি মামলার আসামি তবে বৈষম্যবিরোধী কোনো মামলার আসামি নন। আমরা বারের লোকজনকে ডেকেছি। তাদের প্রশ্ন ছিল, যদি তাকে নিয়ে নির্বাচন করেন, আর কোনো কিছু ঘটে। এটার দায়দায়িত্ব আপনারা নেবেন, আমরা নিতে পারবো না। আমি তখন বললাম, আমরা দায় দায়িত্ব নিতে পারবো না। আমি কেন দায় দায়িত্ব নেব। আমি নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের ডেকেছি। আমরা চাচ্ছি না এটাকে কেন্দ্র করে কোনো হট্টগোল না হোক। আমরা আলোচনায় বসে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে সভাপতি পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন এএসএম আজাদুর রহমান ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির দোলোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল হক। সহ-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন, জুনিয়র সদস্য পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এছাড়া সিনিয়র সদস্য প্রার্থী দুজন হলেন, মহিউদ্দিন মানিক ও কমিউনিস্ট পার্টির ডাডলি ডেরিক প্রেন্টিস, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন আহমেদ মজনু ও বিএনপির শাহ আখলাকুল আম্বিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

আশরাফ আলী/এমএসএ