শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে লাগাতার আন্দোলন
আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হলে সারাদেশে লাগাতার কর্মসূচিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ছাত্র সমাজ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করাসহ করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেতনবঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা প্রদানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছুটি বাতিল করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করে মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজ।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র নেতারা বলেন, টানা ১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে পড়েছেন। ব্যাহত হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। গ্রামে-শহরে অনেক শিক্ষার্থীকে করোনাকালে বাসাবন্দি থাকায় অসময়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এসবের দায় কি সরকার বহন করবে?
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বর্তমান সরকার করোনার চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বেশি ভয় পায়। দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ সকল খাতে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সচেতন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম করতে না পারে সেজন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নয়।
জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব সৈকত, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আলী, জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আল আমীন সুমন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর