ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি ইউনিয়নে বরাদ্দ আড়াই লাখ টাকা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালী জেলা ৭৫ ইউনিয়নের প্রতিটিতেই আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ করেছে সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্তের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর থেকে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করতে আরও সময় লাগবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সহায়তা করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, জেলার ৭৫ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে এবার বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে কিংবা বাঁধ উপচে পানি ঢুকে অনেক এলাকার ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার বলেন, ইয়াসে ২৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনও ওই সব গ্রামে জোয়ারের পানি রয়েছে। শুধু এটুকু বলতে পারি। এছাড়া আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলমান রয়েছে। রোববার (৩০ মে) দুপুর ১২টার পর আমরা আপনাদের ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উচ্চ জোয়ারের পানিতে ৭ হজার ৮৫টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মাছ, পোনাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নিয়ে ৫৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালী বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বড় গাছের ক্ষতি হয় না। মূলত চারাগাছের ক্ষতি হয়। গত দুই বছরে যে সকল নতুন বাগান হয়েছে সে গুলো ক্ষতি হবে। বর্তমানে উপকূলে জোয়ারের পানি রয়েছে। জোয়ারের পানি ভাটায় নামামাত্র আমাদের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইয়াসে আমাদের খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ আমাদের মাঠে খুব ফসল নেই। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলমান রয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. হালিম সালেহীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর