৬ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো গুলিতে নিহত মামুনের মরদেহ

ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত মামুন খন্দকারের (৪৩) মরদেহ প্রায় ছয় মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম এবং মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৭নং বেতমোর ইউনিয়নের বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান খন্দকারের ছেলে।

মামুন খন্দকারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন মামুন। গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। পর দিন ৮ আগস্ট মঠবাড়িয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর ৫ মাস ২১ দিন পর আদালতের নির্দেশে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মামুন খন্দকার নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।

নিহত মামুন খন্দকারের ভাই মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, জীবিকার তাগিদে আমার ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হন। তারপর আর বাসায় ফেরেননি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যান। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে মামুন খন্দকার নিহত হয়। এরপর তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য আজ মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

শাফিউল মিল্লাত/আরএআর