ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীতে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ভাজনা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আবদুর রশিদ বলেন, আমাদের গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে সব শেষ করে দিয়েছে। আমার মরিচখেতসহ দুইটি মাছের ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। রাতে মেয়েরা ঘরে থাকতে পারে নাই। সবাই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। 

সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার বলেন, মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নিতে আমরা কাজ করছি। অনেকে যেতে চাচ্ছে না। 

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ৩ মিলিমিটার বেগে বাতাস বইছে। পায়রায় ৩ নম্বর সংকেত রয়েছে। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলে আঘাত হানতে পারে। 

জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়া মানুষজনকে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। 

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে জেলা প্রশাসক পানিবন্দি মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য পটুয়াখালী সদর উপজেলার টাউন কালিকাপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দুর্গতদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ করেন।

মহিবুল্লাহ চৌধুরী/এসপি