মনপুরায় বাঁধ ভেঙে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি
ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে ৬ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়াও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চলসহ বেড়িবাঁধের বাইরের ৭ গ্রাম ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই সমস্ত এলাকার ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলী ও চরনিজামের নিম্নাঞ্চল ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপর প্রবাহিত হয়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাউলবাড়ি- সংলগ্ন ৬ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে সোনারচর, চরযতিন, দাসেরহাট, চরজ্ঞান, কাউয়ারটেক, কূলাগাজী তালুক, নায়বেরহাট ও আলমনগর গ্রাম প্লাবিত হয়।
বিজ্ঞাপন
দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, নায়বেরহাট, সোনারচর, চরযতিন, চরজ্ঞান গ্রাম, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর ও মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক ও কূলাগাজী তালুক গ্রামের বাঁধের বাইরের এলাকা ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের জোয়ারের পানিতে দাসেরহাট জামে মসজিদ ও চরযতিন পুরাতন থানা মসজিদ ও শত শত ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। ঘরের মধ্যে জোয়ারে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না হাজার হাজার মানুষ। অনেকে নৌকা করে ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও উপজেলা সদরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়। এছাড়াও উপজেলার রামনেওয়াজ এলাকার লঞ্চঘাট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা জানান, জোয়ারে নিম্নাঞ্চল ৪-৫ ফুট প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছ। এছাড়াও ভেঙে যাওয়া ৬ মিটার বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এই ব্যাপারে পাউবোর ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর