ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূল উত্তাল। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে উপকূলের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

এদিকে, ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও অন্তত এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহুতল ভবন প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বেড়িবাঁধ দুর্বল থাকায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া ও টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্তত ১০ লাখের বেশি মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ছে জোয়ারের পানি।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ণিমা ও ইয়াস এর প্রভাবে একী সঙ্গে হওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে থেমে থেমে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় নতুন ৫০টিসহ ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সিপিপির সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ১০ হাজার কর্মী প্রস্তুত। ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিন আল পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপকূলের কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্তত এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহুতল ভবন। বৈরি পরিবেশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতও ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশানা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিধ আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বাড়ছে। সেটি পর্যায়ক্রমে ৪-১০ ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়তে পারে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ ঢাকাপোস্টকে বলেন, রোববার থেকে নাগরে পানি বাড়ছে। পুরো দ্বীপের চারপাশে কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি কয়েকটি এলাকায় ঢুকে পড়ছে। এরচেয়ে বেশি পানি বাড়লে পুরো দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় থাকা মানুষগুলোকে সরিয়ে আনা হবে। নৌবাহিনী কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় এটি শুরু হবে।

মহিব/এমএএস