ভোলার চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুকরি-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১০টা থেকে নদী ও সাগরের মোহনা উত্তাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। এতে ৭/৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, অতি জোয়ারে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত থেকে মানুষের জীবন ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কেল্লা তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেখানকার তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর