সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় সংগঠনটির জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য (এমপি) র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। 

সোমবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ১২টায় আল্টিমেটাম শেষ হলেও হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে তার দেওয়া এজহারটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।

এর আগে গত ১ মে মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মুবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য সদর মডেল থানায় এজহার জমা দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. মোকতাদির চৌধুরী।

পরদিন (২ মে) এজাহারে উল্লেখিত ফেসবুকের লিংকগুলো থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির পোস্ট দেওয়া হয়েছিল কিনা- সেটি পরীক্ষা করে মতামত দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে চিঠি দেয় সদর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু প্রায় এক মাস হতে চললেও এজহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি।

সংসদ সদস্যের ওই এজাহারে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তারা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করে।

মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মুবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করায় গত ২২ মে রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে পুলিশকে ২৪ মের মধ্যে মামলা নথিভুক্ত করার আল্টিমেটাম দেন মোকতাদির চৌধুরী। যদি মামলা না নেওয়া হয়, তাহলে আদালতে মামলা করবেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সিআইডির মতামত আমরা এখনও পাইনি। মতামত না আসা পর্যন্ত সংসদ সদস্যের এজাহার সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর