বরিশাল মহানগর বিএনপির বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আকবরের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে হেলমেট-মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানিয়েছেন।

সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ আকবর জানান, ৩০/৪০টি মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট ও মানকি টুপি পরিহিত দুর্বৃত্তরা রামদা, চাপাতি ও হকিস্টিক নিয়ে তার বাসায় হামলা করে। তারা বাসার জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। আলাপ-আলোচনার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল হোসেন বলেন, নাজিরের পোল থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে হেলমেট ও মানকি টুপি পরিহিত কয়েকজন কাউনিয়া প্রধান সড়কে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটুর খান ভিলা নামের বাসায় হামলা করে। তারা বাসার গেট ও ভেতরে প্রবেশ করে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় আরও দুটি থ্রি-হুইলারে অজ্ঞাত যুবকরা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সবাই বিএনপি নেতা লিটুর নাম ধরে গালাগালি করে।

জহিরুল ইসলাম লিটু বলেন, হামলার সময় তার বাসায় থাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর পেয়ে দুই নেতার বাসায় ছুটে যান বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির, সাবেক প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মহসিন মন্টু, বিএনপি মহানগরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক তারিন, সরোয়ার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।

বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, কাপুরুষের মতো হামলা করা হয়েছে। কারা করেছে এটা এখনো নিশ্চিত হইনি। দলের কোনো লোক যদি জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কাছে নালিশ জানানো হবে। আপাতত দুই নেতাই থানায় অভিযোগ দেবেন।

মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা হামলা চালিয়েছে নিশ্চিত করে কারো নাম বলতে পারেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে