দোকানের মালিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাস্তা পেরোলেই মোমিননগর সমবায় মার্কেট। মার্কেটের ভেতর সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকান। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে জাল কাগজপত্র তৈরির ব্যবসা।

যশোর বিআরটিএ, গাড়ির ফিটনেস সনদ, সিনিয়র জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা রেকর্ড রুম, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা রাজস্ব শাখা, জেলা পুলিশসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাগজপত্র― সবই জাল করত চক্রটি। নিখুঁত এসব কারুকাজ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলোর সবই নকল।

যশোর বিআরটিএ, গাড়ির ফিটনেস সনদ, সিনিয়র জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা রেকর্ড রুম, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা রাজস্ব শাখা, জেলা পুলিশসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাগজপত্র― সবই জাল করত চক্রটি। নিখুঁত এসব কারুকাজ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলোর সবই নকল।

অবশেষে মোমিননগর সমবায় মার্কেটে অভিযান চালান যশোর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভুয়া কাগজপত্র তৈরির সরঞ্জামসহ একটি কম্পিউটার, দোকানের মালিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নকল যত রাবার স্ট্যাম্প

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্র।

এ সময় ভুয়া কাগজপত্র তৈরির দায়ে দোকানের মালিক সাজ্জাদুর রহমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তার কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ একই সঙ্গে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত দোকানের মালিক সাজ্জাদুর রহমান যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে ও মনিরুল একই উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোবারেক মোল্লার ছেলে।

অভিযানে সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকানে যশোরের বিভিন্ন সরকারি দফতরের ভুয়া সিল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া দোকানের কম্পিউটারে যশোরের বিভিন্ন দফতরের কাগজপত্র তৈরির ডকুমেন্টও রয়েছে। নিখুঁত সব কারুকাজ। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলো নকল। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল স্বাক্ষর বা সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে আসছে বলেও জানান তিনি।

কৃষ্ণ চন্দ্র, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্র ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি যশোর রেকর্ড রুমে কয়েকটি জমির ভুয়া আরএস খতিয়ান এবং সিএস খতিয়ান তৈরি করে ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সিলের মাধ্যমে যশোর রেকর্ড রুম থেকে জমির পর্চা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ধরনের প্রতারণার শিকাররা যশোর রেকর্ডরুমে অভিযোগ করলে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তিনি জানান, অভিযানে সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকানে যশোরের বিভিন্ন সরকারি দফতরের ভুয়া সিল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া দোকানের কম্পিউটারে যশোরের বিভিন্ন দফতরের কাগজপত্র তৈরির ডকুমেন্টও রয়েছে। নিখুঁত সব কারুকাজ। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলো নকল। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল স্বাক্ষর বা সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে আসছে বলেও জানান তিনি।