ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়।  

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সংশ্লিষ্ট মামলায় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে তাদের ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া ও সানকিপাড়া এলাকা থেকে এই ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।  

গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা হলেন- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা আহমেদ ও সোহাগী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাবুব আলম শামীম।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

এদিকে গতকাল রোববার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হওয়া সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু রায়হান বাদী হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি রাতে সোহাগী রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটাসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পুলিশ খবর পেয়ে ছাত্রলীগের তিনজন ও যুবলীগের একজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, কোতোয়ালী থানায় গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুজনের মধ্যে একজন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আমাদের থানার মামলায় তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরকে