হাতকড়া পরিয়ে ব্যবসায়ীকে হেনস্তার অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সবুজ সরকারকে হাতকড়া পরিয়ে হেনস্থা ও ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সেইসঙ্গে তোর কাছ থেকে নেওয়া ২ লাখ টাকাও ফেরত দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে নয়নপুর হানু মার্কেট এলাকার নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল ব্যবসায়ী সবুজ সরকারকে আটক করেন চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল কুদ্দুস। ব্যবসায়ীর অভিযোগ সে সময় ২ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী সবুজ সরকার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে।
সবুজের অভিযোগ, তাকে হাতকড়া পরিয়ে মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফাঁড়ির একটি খুঁটির সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে আটকে রাখা হয়।
সবুজ বলেন, আমার বাবার জমি বিক্রির ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আমার চাচা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান সরকার। তার সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। চাচার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে আটক করে। তবে ফাঁড়িতে আটক অবস্থায় কৌশলে মোবাইল দিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করি। এক ঘণ্টা পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আটকের সময় আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানাজানি হলে পুলিশ সেই টাকা আমার মায়ের কাছে ফেরত পাঠায়।
তার ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল, ‘আমাকে হাতকড়া পরিয়ে কেন আটক করা হলো? আবার ছেড়ে দেওয়া হলো কেন? সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার ও হাতকড়া পরানোর নিয়ম নেই।’
চকপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সবুজকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে ফাঁড়িতে নেওয়া হয়নি। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়। টাকা নেওয়া ও ফেরতের বিষয়ে কিছু বলতে তিনি অস্বীকার করেন।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিহাব খান/এএমকে