শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন—পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু তাহের চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করা এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অবমাননা করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবু তাহের চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এ ছাড়া দলের স্থানীয় সব নেতাকর্মীদেরকে তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু তাহের চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দলের সংবিধান অনুযায়ী সদস্য সচিব আমাদের প্রথামিক সদস্য পদ স্থগিত করতে পরেন না। দলীয় সংবিধানে সে ক্ষমতা তার নাই। সদস্য পদ স্থগিত করতে পারেন একমাত্র চেয়ারপারসন। আমাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্টের জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব করেছেন। ওনার নামে দলের হাইকমান্ডে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, সদস্য সচিব আমাদেরকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে এই আদেশ দিয়েছে। সদস্য সচিব কখনো বহিষ্কারের আদেশ দিতে পারেন না, উনি দলের হাইকমান্ডের কাছে সুপারিশ করতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত জুন মাসে আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আরেকজনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটিগুলো পরিবর্তন, পরিমার্জন করার ক্ষমতা জেলা বিএনপি রাখে। তাকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরেও বিভিন্ন জায়গায় আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিল এখন চলমান রয়েছে। পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলা বিএনপি থেকে যে কাউন্সিল করার তারিখ দেওয়া হয়েছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তারাও একই তারিখে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন। ফলে তাদেরকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম শামীম/এএমকে