কিশোরগঞ্জে টানা তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা মিললো সূর্যের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদের কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

এদিন সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় নিকলী আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আখতার ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে নিকলী আবহাওয়া অফিস। গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা আকাশ। মেঘলা আকাশের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু জনজীবন। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদের কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। এবার টানা তিন দিনের শৈত্য প্রবাহে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০টার পরও হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।

কিশোরগঞ্জের নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই কিশোরগঞ্জের তাপমাত্রা নিম্নমুখী ছিল। আজকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সূর্যের দেখা মিলেছে, এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। এখন কিছুটা উন্নতির দিকে, তবে এ মাসেই শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে এমনটাই মনে করছি। তবে নিকলীতে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএমকে