টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভবনটি পুরাতন হওয়ায় ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে পুলিশি কার্যক্রম। ঝুঁকি জেনেও এই ভবনে বসে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও থানার কোয়ার্টার ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে বারবার সংস্কার করেও কোনো কাজে আসছে না ভবনটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনটির উপরতলার ছাদ খসে খসে পড়ছে। এরমধ্যেই পুলিশ সদস্যরা বসবাস করছেন ঝুঁকি নিয়ে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালের ৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত এম মনসুর আলী ভূঞাপুর থানা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ৯ই নভেম্বর ঢাকা বিভাগের ডিআইজি এম আজিজুল হক থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর মধ্যে ভবনটি সংস্কার হলেও সেটি কোনো কাজে আসেনি। ফলে দিনদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভবনটি।

ভূঞাপুর থানার পুলিশ সদস্য খয়বর আলম ও সাদ্দাম বলেন, বিকল্প ভবন না থাকায় এখানেই বসে কাজ করতে হচ্ছে। পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে। বৃষ্টির নামলে চুয়ে চুয়ে কক্ষে পড়ে। ভবনটি  সংস্কার বা পুলিশ সদস্যদের জন্য আলাদা একটি ভবন খুবই প্রয়োজন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্যরা মানুষের জানমাল ও জননিরাপত্তায় কাজ করে থাকি। দিনরাত পরিশ্রম করে দিনশেষে ভবনে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর পরিবেশ নেই। প্রতিনিয়ত নির্ঘুম রাত পাড় করতে হচ্ছে। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আলাদা কোনো ভবন না থাকায় জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের।

তিনি আরও বলেন, ভবনটি পুরোনো হওয়ায় ভবনের ছাদের পলেস্তার ধসে পড়ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়। বর্তমান ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন একটি ভবনের নির্মাণ ও থাকার সু-ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

অ‌ভি‌জিৎ ঘোষ/এআইএস