উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে আর সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক কার্ড অচল হয়ে পড়েছে। এই বিপ্লবে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং পাহাড় ও সমতলের সকল শ্রেণি-পেশার ও সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পৃক্ত ছিল। এর ফলে সংঘাত তৈরি করতে আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নে বন্দেরপাড়া হরিবাশর মন্দিরে কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এমরান সালেহ প্রিন্স কীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে ঢাকঢোল বাজিয়ে হিন্দু নারীরা তাকে উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ভয়ভীতি ও শঙ্কার কিছু নেই। সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম করেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল চক্রান্ত করছে এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পুনর্বাসন করতে। সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এ সময় হরিবাশরের এই কীর্তন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স আরও বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কীর্তন অনুষ্ঠান বানচাল করে হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি, উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। কিন্তু বিএনপি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য গত বছরের থেকেও বেশি ভক্ত ও অনুসারীদের উপস্থিতিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবার কীর্তন অনুষ্ঠান চলছে। এটাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র।

এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভজন সরকার, সজল সরকার, রঞ্জন সরকার, প্রবোধ সরকার, বিপ্লব সরকার, সুমন সরকার, সুভাষ সরকার, সুব্রত পাল, বিএনপি নেতা আবু হাসনাত বদরুল কবির, আবদুল হাই , আবদুল আজিজ খান, আনোয়ার হোসেন, শহীদুল হক খান সুজন, আমজাদ হোসেন, নূরে আলম জনি, আতিক আলী সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এমজেইউ