নোয়াখালীর কবিরহাটে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ও আড়াই লাখ টাকার জাল নোটসহ কবির উদ্দিন (৫১) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এসময় মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ (৫০) নামে আরেক প্রতারক পালিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তার কবির উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিরটেক গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।

এর আগে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রাম থেকে আসামি কবির উদ্দিনকে আটক করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী।

এসময় তার কাছ থেকে ১৩ বান্ডেল (এক লাখ ৩০ হাজার) জাল ডলার, ২৫০টি এক হাজার (আড়াই লাখ) জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুইজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।

পলাতক আসামি মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রামের আবদুর রবের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

মামলার বাদী মো. ইসমাইল হোসেন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতারক মোহাম্মদ আতিক উল্যাহর সঙ্গে ছয় বছর আগে থেকে আমার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক। আতিক উল্যাহ গুপ্তধন পেয়ে তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ ডলার আহরণ করেছে বলে আমার বাবাকে জানান।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে সে ডলার দেওয়ার কথা বলে আমার বাবার কাছ থেকে দফায় দফায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ডলার না পেয়ে টাকার জন্য চাপ দিলে আতিক আরও ৭০ হাজার টাকা নিয়ে তার বাড়ি থেকে আগের টাকাসহ সব ডলার বুঝে নিতে বলে। সোমবার রাতে তার বাড়িতে গেলে সে দুই বান্ডেল জাল ডলার দেয়।

নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আতিক নামে একজন জাল টাকা ব্যবহার করেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মো. নাবিল রহমান বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১৩টি ১০০ ইউএস ডলারের জাল বান্ডেল (৬০টি করে মোট ৭৮০টি নোট), ৩টি ১০০০ টাকার জাল বান্ডেল (মোট ২৫০টি নোট) এবং ব্যাংকের নকল ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় ফেনী জেলার দাগনভূঞাঁ উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইছহাক বাচ্চুর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন রুবেল (৩৫) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামি মোহাম্মদ আতিক উল্যাহকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ