অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে : জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার যদি দফায় দফায় আমাকে জেলে না দিত তাহলে জুলুমের দৃশ্য সরাসরি আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হতো না। মিথ্যুকরা বলে আয়নাঘর বলে কিছু ছিল না, কিন্তু আয়নাঘর তো স্বচক্ষে আমি দেখেছি। শেষবার যেখানে আমাকে নিয়ে রাখা হয়েছিল আমার থাকার জায়গা এবং আয়নাঘর একই বিল্ডিংয়ে ছিল। আয়নাঘরের লোকগুলোকে মাঝেমধ্যে নামিয়ে আমার পাশের সেলগুলোতে রাখতো। ওরা অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতো। আমি তাদের চেহারাগুলো স্টাডি করার চেষ্টা করতাম। পরবর্তী পর্যায়ে ওদের কাউকে কাউকে কোর্টে চালান দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না, সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার ও বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন। সর্বোপরি তিনি বর্তমান সরকারের কাছে গাইবান্ধায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ডা. আব্দুর রহীম সরকার, সিনিয়র নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, জেলা সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
রিপন আকন্দ/এমজেইউ