সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরাগাছি ইউনিয়নের চারাবাড়ী এলাকায় বিএনপির অফিসে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিএনপির অন্তত ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গুরুতর অবস্থায় একজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চারাবাড়ী স্কুলমোড়ে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও রড নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির অফিসে হামলা চালায়। মো. মুনজুর আলী বিশ্বাস ও মো. মহিদুল গাজীর নেতৃত্বে এই হামলাটি সংঘটিত হয়। এ সময় মো. আজহারুল বিশ্বাস রামদা দিয়ে বিএনপি নেতা বাবলুর মাথায় আঘাত করেন। পরে মো. জুলফিকার আলী লাঠি দিয়ে আঘাত করলে বাবলু গুরুতর আহত হন।

অন্য নেতাকর্মীদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলারোয়া উপজেলা যুবদল একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রভাষক সালাউদ্দীন পারভেজ। কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুল আরেফীন বলেন, “বিএনপির অফিসে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। এটি দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ থেকে ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, হামলাটি পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইব্রাহিম খলিল/টিএম