ঠাকুরগাঁওয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভা
কেউ ৬৪ জেলার নাম, কেউ প্রতিষ্ঠা সাল কেউ আবার জেলার নাম বললেই বলে দিতে পারছে উপজেলার নাম। কোনো শিক্ষার্থী ৪০০ বিজ্ঞানীর নাম ও আবিষ্কার আবার কেউ বলে দিচ্ছেন বিশ্বের দেশগুলোর রাজধানী ও মুদ্রার নাম। এমনি বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী ঠাকুরগাঁওয়ের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিভা বিকাশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের কয়েকটি রুম, নেই কোনো সৌন্দর্য। আচমকা দেখায় সাধারণ ঘর মনে হলেও, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাজসজ্জায় তেমন আকর্ষণ না থাকলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিভায় আকৃষ্ট হবেন সবাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবার মাঝে।
বিজ্ঞাপন
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের ফুটানি বাজারের পাশে চার বছর আগে পথচলা শুরু করে সানলাইট এডুকেশনাল কটেজ। অজপাড়া গাঁয়ে মেঠোপথের পাশে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্লে থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত করানো হয় পাঠদান। প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিভা আলোড়ন ফেলেছে জেলাজুড়ে।
আরও পড়ুন
প্রতিষ্ঠানটির প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান ও তাসনীম আক্তার। ৫ বছর বয়সী ছোট্ট শিশুরা বলে দিতে পারেন দেশের ৬৪ টি জেলার নাম। জেলার নাম বললেই প্রতিষ্ঠার সাল বলে দিতে পারেন প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু শাহীন আর প্রায় চার শতাধিক বিজ্ঞানী ও তাদের আবিষ্কারের নাম বলতে পারেন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া সাজ্জাদুর ইসলাম সাজু। জেলাগুলোর নাম বললেই উপজেলার নাম বলে দিতে পারেন অষ্টম শ্রেণির জেসমিন আক্তার আর বিশ্বের দেশগুলোর রাজধানী ও মুদ্রার নাম বলে চমক দেখান নবম শ্রেণির আসমানি আক্তার।
এছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা ও লেবু পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা ধরনের প্রতিভার অধিকারী বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। গাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিভায় মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ভবিষ্যতে এদের প্রতিভা বিকাশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল বিন হায়দার বলেন, আমি বাচ্চাদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সুন্দর করে সব বিষয়গুলো আয়ত্ত করেছে। এই অল্প বয়সে তাদের যে প্রতিভা এদের যত্ন নিলে এরা আরও বড় হবে এবং ভালো কিছু করে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবে।
এখানে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সব ধরনের জ্ঞানের চর্চা করানো হয়ে থাকে বলে জানান পরিচালক। আগামীতে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
সানলাইট এডুকেশনাল কটেজের পরিচালক শেখ সিরাজ বলেন, স্কুলের বাচ্চাগুলো অনেক মেধাবী। আমরা চেষ্টা করছি তাদের মেধাগুলো বিকশিত করার। গ্রামের গরিব ঘরের বাচ্চাগুলোর একটু যত্ন নিলে এরা আরো এগিয়ে যাবে। আমাদের স্কুলে আমরা উন্নত বিশ্বের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানোর চেষ্টা করছি।
আরিফ হাসান/এআইএস