মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে : দুলু
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের হিন্দুদের নয়, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। তারা ভালোবাসে আওয়ামী লীগকে। সবচেয়ে বেশি হিন্দু নির্যাতিত হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। নাটোরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নির্যাতন করে ভারতে যেতে বাধ্য করছে। তখন কিন্তু ভারত কিছু বলত না। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে তারা বাংলাদেশকে ইচ্ছেমতো লুটপাট করতে পারে। তাই মোদির দরদ শুধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য, হিন্দুদের জন্য নয়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার পন্ডিতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাতনী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ কোরআনে বলেছেন তিনি ক্ষমতা এবং সম্মান দেওয়ার মালিক। হাদিস-কোরআনের মাধ্যমে জেনেছি নমরুদ-ফেরাউন সেই সময় মানবজাতির ওপর কী পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে এ দেশের সাধারণ জনগণের ওপর নমরুদ-ফেরাউনের চেয়েও বেশি নির্যাতন চালিয়েছে শেখ হাসিনা।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। ভুল করলে আল্লাহর কাছে মাফ চাই। কিন্তু শেখ হাসিনা, আল্লাহর কাছে না চেয়ে মোদির কাছে চায়। সে নাকি (শেখ হাসিনা) তাহাজ্জুদ পড়ত, অথচ মাওলানাদের জেলে পুরত। শেখ হাসিনা দাড়ি-টুপি দেখলেই রাজাকার-জঙ্গি বলে তকমা দিত।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। শক্ত হাতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের চালানো অপপ্রচার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন দিলে একটি নির্বাচিত সরকার এলে এসব অপতৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে।
ছাতনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দুলুর মেয়ে ব্যারিস্টার তাসনুভা তাবাসসুম রাত্রী, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ