নোয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেঁকে বসেছে শীত
পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রবাসে নোয়াখালীতে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি ও শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হওয়া বৃষ্টির কারণে জনজীবনে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন।
বিজ্ঞাপন
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকদের কাজ করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। শহরের মূল বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেছে। শীতে কাজ না থাকায় শ্রমজীবী আর হতদরিদ্র মানুষেরা চরম দুর্ভোগে।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. তুহিন উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। পর্যটকরা বের হতে পারছেন না। এ ছাড়া এখানে ধান শুকানোর সময় চলছে। এখন ধান ভেজা থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। কিছু দিন রোদ না পেলে বড় ক্ষতি হবে।
আশরাফ হাবিব নামের হাতিয়া উপজেলার এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে আর রাতে প্রচুর কুয়াশা ও শীত। সারা দিনেও সূর্যের দেখা মেলে নাই। আজ হঠাৎ বৃষ্টির কারণে স্যাঁতস্যাঁতে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই বৃষ্টির কারণে জনজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিম্নচাপের কারণে সকাল থেকে নোয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আগামী দু-এক দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ থাকতে পারে। নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপকূলের পাঁচ উপজেলায় আমাদের আলাদা নজর রয়েছে। শীতে যেন নিম্ন আয়ের মানুষে কষ্ট না পায় সেইজন্য আমরা কম্বল বিতরণ করবো। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমি মনে করি প্রতিটি সচ্ছল মানুষের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
হাসিব আল আমিন/এএমকে