যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভূলোট সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সীমান্তের ইছমতি নদী থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একই এলাকা থেকে সাকিবুর ঢালী (২২) নামে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।

নিহত সাকিবুর ঢালী বেনাপোল কাগজপুকুর এলাকার জামিলুর রহমানের ছেলে। এর আগে উদ্ধার হওয়া দুইজন হলেন—সাবু হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর কবির (৩৩)।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, এরা পেশায় চোরাকারবারি। ভারত থেকে চোরাচালানি পণ্য এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করে থাকেন। গতকাল রাতে চোরাচালানি পণ্য আনতে গিয়ে তারা ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হন এবং বিএসএফের নির্যাতনে মারা যান। পরে রাতের যে কোনো সময় বিএসএফ তাদের মরদেহগুলো সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে যায়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস জানান, খবর পেয়ে শার্শার পাঁচ ভূলোট এলাকা থেকে পরপর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এদেরকে পিটিয়ে এবং নির্যাতন করে মারা হয়েছে। মরদেহের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শার্শার পাঁচ ভূলোট সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএমকে