জয়পুরহাটে সাড়ে ৯ বছর আগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০১৪ সালে লন্ডনে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ মে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা বাদী হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির একটি মামলা করেন। পুলিশ এই মামলায় আদালতে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় এ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল ইসলাম জনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল। মামলাটি দায়ের পর থেকে বাদী নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত তারেক রহমানকে মামলা থেকে খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি এটিএম মুজাহিদ আজিজ মনা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলায় কোনো উপাদান ছিল না। আদালত তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

চম্পক কুমার/এএমকে