চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মহান বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে নিহত ও আহতের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দেড়টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবুল কালাম সাহিদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নাচোল উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের বাহার আলী মন্ডলের ছেলে মো. আজিজুল হক (৫২) এবং এজাবুল হকের ছেলে মো. তাসিম (৩২)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ১০ থেকে ১৫ দিন পূর্বে নাচোলের খোলসি এলাকার জনৈক আব্দুল খালেকের পেয়ারা বাগানে পলিথিন (পিপি) বাঁধার কাজ করছিলেন লেবার সরদার সালাম ও সাধারণ লেবার শাহিন। কাজ করার কোনো এক সময় শাহীন গোপনে লেবার সর্দার সালামের  প্রস্রাব করার ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে শাহিন সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। বিষয়টি সালামের নজরে আসলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এর জেরে গতকাল রাতে মল্লিকপুর গ্রামস্থ গরুর হাটে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংঘ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শাহীন ও তার লোকজনেরা আগে থেকেই ওত পেতে থাকে। পরে সালাম ও তার লোকজন অনুষ্ঠান দেখার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালেই তাদের ওপর শাহীন গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সালাম গ্রুপের দুইজন নিহত হন এবং চারজন আহত হয়।

এই বিষয়ে মো. আবুল কালাম সাহিদ বলেন, গতকাল রাতে নাচোল থানার মল্লিকপুর বাজারে শহীদ জিয়া সংঘের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সময় মারামারি ঘটনা ঘটে। এতে মাসুদ ও রায়হান নামে দুইজন নিহত হন। এই ঘটনায় নাচোল থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে আজিজুল ও তাসিম নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে মহান বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হন। নিহতরা হলেন-নাচোল উপজেলার খোলসি গ্রামের এজাবুলের ছেলে মাসুদ (২০) এবং একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান (১৬)। এ ছাড়া আহতরা একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে সুমন (১৮), আলমের ছেলে রজব আলী রনি (১৪), রাব্বানী ছেলে আরমান (১৬) ও ফিরোজ আলীর ছেলে ইমন (১৫)।

মো. আশিক আলী