শ্রমশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করব বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীন, রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক দর্পন চাকমাসহ প্রমুখ। সভায় নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নীহার কান্তি খীসা। 

নীহার কান্তি খীসা তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ১৯৭৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার ৮৪২ জন এবং ১৯৯১-২০২৪ পর্যন্ত ১২ লাখ ৩১ হাজার ২১৬ জন মহিলা কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশ গমন করেছেন। বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মৃত ওয়ারিশদের লাশ দাফন ও পরিবহন বাবদ ৩৫ হাজার টাকার চেক এবং আর্থিক সহায়তা বাবদ ৩ লাখ টাকা ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রদান করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, পার্বত্য এলাকা থেকে যে হারে জনশক্তি রপ্তানি করা হচ্ছে তা আশানুরূপ নয়। জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে সবাইকে কাজ করতে হবে। তবে শ্রমশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করব। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাঙামাটির ১০ হাজার কর্মী বিদেশে কর্মরত আছেন। এই সংখ্যাকে ৫০ হাজারে উন্নীত করতে আমরা কাজ করে যাব। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করি। বিগত সময়ে হয়নি বলে এখন হবে না আমরা এটি মানতে রাজি নই। 

অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রদানকারী ৩ জন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক ও একজনকে শিক্ষা বৃত্তির চেক তুলে দেন অতিথিরা।

মিশু মল্লিক/আরকে