গাইবান্ধায় রাস্তার মোড়ে জমে উঠেছে শীতের পিঠার দোকান
গাইবান্ধা শহরে জমে উঠেছে চিতই ও ভাপা পিঠার মৌসুমি দোকানগুলো। সন্ধ্যা নামতেই শহরের পার্কমোড়, এক নম্বর ট্রাফিক মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, ঘাঘট লেকপাড়, রেল স্টেশনের দুই পাশ এবং জেলা পরিষদ মোড়সহ অন্তত ১০ থেকে ১৫ স্থানে বসে এসব পিঠার পসরা। রাত যত বাড়ে, ততই ভিড় বাড়ে পিঠাপ্রেমীদের।
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অস্থায়ী পিঠার দোকানে দেখা মেলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। কেউ আসেন একা, কেউবা পরিবারসহ। অফিস শেষে ক্লান্ত কর্মজীবী থেকে শুরু করে শীতের সন্ধ্যায় ঘুরতে বের হওয়া দম্পতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দিনমজুরসহ সবাই উপভোগ করছেন শীতের পিঠার স্বাদ।
বিজ্ঞাপন
শহরের পার্কমোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা সরকারি চাকরিজীবী আশরাফ আলী বলেন, প্রত্যেক বছর শীতের সময় এখানে পিঠার দোকান বসে। কর্মব্যস্ত দিন শেষে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পিঠা খেতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।
পিঠাপ্রেমী রনি মিয়া বলেন, পিঠা ছাড়া শীত যেন অপূর্ণ মনে হয়। এখানে চালের গুঁড়ার সঙ্গে খেজুরের গুড়, নারকেল, বাদাম, কিশমিশ ও জয়ফলসহ নানা উপকরণে পিঠা তৈরি হয়, যা খেতে অসাধারণ লাগে।
এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ের পিঠার দোকানগুলোতে ব্যস্ততা থাকে বেশি। এখানে পিঠা খেতে আসা সদ্য বিবাহিত সিরাজ-শামীমা দম্পতি বলেন, বিষণ্নতা কাটাতে বিকেলে বের হয়ে পিঠার দোকানে এসেছি। চিতই পিঠার সঙ্গে সর্ষে ভর্তা ও ধনেপাতা ভর্তা খেতে দারুণ লাগছে।
আরও পড়ুন
মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, ২০০৪ সাল থেকে আমি চিতই পিঠার দোকান করছি। শীতের তিন-চার মাস সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান চলে। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি চিতই পিঠা বিক্রি হয়। প্রতিটি পিঠার দাম মাত্র ১০ টাকা।
পার্কমোড়ের ভাপা পিঠা ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তাফা বলেন, শীতের শুরুতেই আমি দোকান বসাই। পিঠার দাম ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চেষ্টা করি ক্রেতাদের সুস্বাদু পিঠা খাওয়াতে।
শীতের পিঠা নিয়ে গাইবান্ধা জেলা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি আলমগীর কবীর বাদল বলেন, পিঠা বাঙালির প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। শীতের পিঠা-পুলির উৎসব বাঙালির আনন্দময় শীতকে আরও রঙিন করে তোলে। এই পিঠার প্রচলন যেন যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে সেই প্রত্যাশা করি।
রিপন আকন্দ/এমএন