হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন ককটেল বিস্ফোরণে আহত সুরুজ
ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেলের বিস্ফোরণে আহত হাফিজুর রহমান ওরফে সুরুজ (৩৫) হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সুরুজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সুরুজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
ওয়ার্ডের একজন নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ কেসের রোগীরা কাউকে না জানিয়েই অনেক সময় গোপনে হাসপাতাল থেকে চলে যান। অনেকেই বাইরে গোপনে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। সুরুজের বিষয়টিও এমন হতে পারে। বিষয়টি হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
জানা গেছে, সুরুজের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পেঁচিপাড়া গ্রামে। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেলের বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর ককটেল বিস্ফোরণের আলামতও পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে ফেলা হয়েছে। তবে ঘটনার পরে পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
রোববার সকালে রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সবগুলো বিভাগ এবং বাইরের বারান্দায় খুঁজেও রোগী সুরুজকে পাওয়া যায়নি। নার্সেস স্টেশন থেকে একজন নার্সিং কর্মকর্তাও তাকে খুঁজে পাননি। খাতাপত্র দেখে ওই কর্মকর্তা জানান, খাতাপত্রে ভর্তি থাকা রোগী হিসেবেই সুরুজের নাম লেখা আছে। তাকে কোথাও স্থানান্তর করা হয়নি। আবার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি। সে অনুযায়ী তিনি হাসপাতালে ভর্তিই আছেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, সুরুজ আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি ককটেল তৈরি করেন। ককটেলগুলো অনেক দিন আগের তৈরি করায় রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল। শুকানোর ককটেলগুলো ব্যাগে ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনি ঝলসে যান।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এত বড় হাসপাতালে আসলে সব রোগীকে দেখে রাখা সম্ভব হয় না। সে ছুটি না নিয়েই গোপনে পালিয়ে গেছে। আমাদের হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রয়েছে। আমরা হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।
শাহিনুল আশিক/এমএসএ