রাজশাহীর পবা উপজেলার দুটি হিমাগার থেকে ১ হাজার ৯৫৭ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খোলা বাজারে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আমান ও রহমান হিমাগারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান। এতে পবা থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

জানা গেছে, আলুর বাজারে কয়েক দফা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ঠেকাতে সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে পবার উপজেলায় বিভিন্ন হিমাগারে নির্ধারিত সময়ের পরও মজুতকৃত আলু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বরের পর হিমাগারে আলু রাখা যাবে না- এই সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার অংশ হিসেবে উপজেলার আমান ও রহমান হিমাগারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমান হিমাগারে ৪৫২ বস্তা ও রহমান হিমাগারে ১৫০৫ বস্তা আলু ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য জব্দ করা হয়। পরে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খোলা বাজারে ডাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি আলু ৩৯ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এই আলু ভোক্তাদের কাছে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

জানা গেছে- গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুতদারেরা আলু সংগ্রহ করে হিমাগারে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। শুধু রাজশাহী জেলাতেই ৪৩টি হিমাগার রয়েছে। এতে সংরক্ষণ বা মজুত করা হয় প্রায় ৮৫ লাখ ব্যাগ বা বস্তা। আর প্রতিবস্তায় ৬৫ কেজি আলু থাকে।

এ বিষয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দুই হিমাগার থেকে ১ হাজার ৯৫৭ বস্তা আলু জব্দ করা হয়। পরে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খোলা বাজারে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। 

এমএসএ