ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর ভক্তরা ফের পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে জেলার বিজয়নগর উপজেলার নাজিরাবাড়ী গ্রামে মাহফিল থেকে তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হট্টগোলের মধ্যে মাহফিল থেকে পালিয়ে যান তাহেরী। 

বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিজয়নগর উপজেলার নাজিরাবাড়ী গ্রামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের আয়োজনে মাহফিলে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী উপস্থিত হন। তবে মাহফিলে কোনো অনুমতি না থাকায় খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশের প্রতিনিধি দল সেখানে উপস্থিত হয়। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাহফিলের পরিবেশ। এ সময় গিয়াস উদ্দিন তাহেরীকে তার ভক্তরা পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তিনি বাড়ির পেছনের বিল দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে যান। মাহফিলে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এসআই ফারুক আহমেদ, এএসআই প্রদীপ দাসসহ ছয়জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপরাধে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর আখাউড়ার একটি মাহফিলে পুলিশের ওপর হামলার পর ১৩ ডিসেম্বর আখাউড়া থানায় এসআই বাবুল বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে একটি মামলা করেছেন। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে সেই মামলায়। 

বিজয়নগর থেকে আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চর ইসলামপুর মধ্যপাড়ার মন মিয়ার ছেলে ওমর আলী (২৯), একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে হাকিম মিয়া (৩৭), মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে সেলিম মিয়া (২৪), নাজিরাবাড়ীর রমজান মিয়ার ছেলে শাহানুর (৩৫), একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও ছতরপুর গ্রামের সেন্ট মিয়ার ছেলে মোশাররফ মিয়া।

বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী জানান, নাজিরাবাড়ীর মাহফিলের অনুমতি ছিল না। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর উপস্থিত মানুষের মধ্যে তাহেরীকে গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দেয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের ব্যবহৃত গাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের কাজে বাধা ও পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপরাধে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।  

মাজহারুল করিম অভি/আরএআর