ভারতের উদ্দেশ্যে দুলু
‘শেখ হাসিনার জন্য দরদ হলে একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেন’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা নমরুদ-ফেরাউনের দোসর ছিল। আমরা তো পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে জেনেছি কীভাবে ফেরাউন-নমরুদরা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। আর গত ১৫ বছর নিজেদের চোখে দেখেছি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটিতে কতটা জুলুম নির্যাতন-অত্যাচার করেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাতের পরেই ভারতের জ্বালা শুরু হয়েছে। তারা জোর করে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে রাখতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, এত দরদ থাকলে একটি অঙ্গরাজ্য শেখ হাসিনাকে দিয়ে দেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেখেন শেখ হাসিনা কীভাবে ভোট চুরি করে। ভোট চুরি করে একসময় দেখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে নিয়েছে। কেননা শেখ হাসিনা জানে কীভাবে দিনের ভোট রাতে করতে হয়, কীভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়, কীভাবে গুম-খুন করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য ছিল। আমাদের আর দাদাগিরি দেখাতে আসবেন না। ৫ আগস্ট বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের স্থান আর হবে না।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া নারী শিক্ষা ফ্রি করে দিয়েছিলেন, এবার আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবক হবেন মা এবং তাদের নামেই হবে ফ্যামিলি কার্ড। তারেক রহমান এবং বিএনপি নারীদের সবচেয়ে বেশি সম্মানিত করেছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুলু বলেন, যেই বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের জায়গা দেবে, আত্মীয়ের কথা বলে রাজনীতির সুযোগ করে দেবে, সেই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাবর আলী শাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দুলুর সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, নাটোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এমদাদুল হক আল মামুন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম আবুল ব্যাপারী, কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ