অচল হয়ে পড়ার দীর্ঘ ৪ মাস পর প্রাথমিক পর্যায়ে সচল করা হয়েছে শেরপুর জেলা কারাগার। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালত থেকে যাওয়া ১৩ বন্দিকে নিয়ে সীমিত পরিসরে কারাগার সচল করা হয়েছে। 

এর মধ্য দিয়ে কারাগার কেন্দ্রিক নানা সমস্যা-সংকটের নিরসন হয়েছে।

কারাগার সচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবাগত জেল সুপার মো. শফিকুল আলম জানান, গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে কারাগারের সংস্কার কাজ চলছিল। প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ওই সংস্কার কাজের ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দুটি প্রাক্কলনের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তবে শেরপুরের বন্দিদের জামালপুরে আনা-নেওয়াসহ নানা বাড়তি ঝামেলার বিষয়টি বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শেষ না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ও সীমিত পরিসরে কারাগারটি সচল করা হয়েছে।

তিনি জানান, এখন থেকে নতুন বা পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের এ কারাগারেই আনা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট মামলার প্রতি ধার্য তারিখে জামালপুরে থাকা বন্দিদের শেরপুর কারাগারে আনা হবে। আর এর মধ্য দিয়েই পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে কারাগারের কার্যক্রম।

এদিকে সীমিত পরিসরে কারাগার সচল করার পূর্বাহ্নে সংস্কারকৃত কারাগার পরিদর্শন করেছেন শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান মাহমুদ। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিকেলে বিক্ষুব্ধরা শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা চালায়। ওই সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যান সাজাপ্রাপ্তসহ গুরুতর অভিযোগের মামলার ৫১৮ বন্দি।

নাইমুর রহমান তালুকদার/এমএসএ