বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাগুরার শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় গুলিতে নিহত মেহেদী হাসান রাব্বী কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে মাগুরা শহরের ল্যাব সিটি নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রাব্বির স্ত্রী রুমী  খাতুন।

নবজাতকের আগমনে শহীদ পরিবারে এখন আনন্দের পরিবর্তে বিষাদের ছায়া। রাব্বি দেখে যেতে পারলেন না তার সন্তানকে।

নিহত রাব্বির ভাই ইউনুস আলী বলেন, রাব্বি যখন মারা যায় তার স্ত্রী রুমি সন্তানসম্ভবা ছিল। রাব্বির মৃত্যুর পর বুধবার রাতে ঘর আলো করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। আফসোস, ভাই তার মেয়েকে দেখে যেতে পারল না। তার সন্তানও কোনোদিন বাবাকে দেখতে পারবে না। নবজাতক ও তার মা সুস্থ রয়েছে। সকলের কাছে শহীদ রাব্বির সন্তান, তার মা ও পরিবারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। 

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড পারনান্দুয়ালী ব্রিজের সামনে গুলিবিদ্ধ হন রাব্বী। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত রাব্বি মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত রাব্বির বড় ভাই ইউনুস আলী গত ১৪ আগস্ট মাগুরা থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার আদালতের নির্দেশে রাব্বির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছিল।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে মাগুরার বিএনপির নেতা মিথুন রায় চৌধুরী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মাগুরায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হন। ঘাতকের বুলেট সন্তানের কাছ থেকে তার বাবাকে চিরতরে নিয়ে গেছে। রাব্বীর পরিবারের পাশে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।

তাছিন জামান/আরকে