ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে অন্তত ৩২টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্যকাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আজ বুধবার সকালে ইব্রাহিম ও জিন্নাহর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে অন্তত ২২টি বসতবাড়ি ও ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে ১১ জন আহত হন। তাদেরকে নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাইচাইল মাদরাসা বাজারে আমার ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জিন্নাহর শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসা বাজারে এসে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। এ সময় আমার লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আজ বুধবার সকালে আবারও জিন্নাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তখন আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তবে কোনো লুটপাট হয়নি।

এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছু বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/এমজেইউ