জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ভারত চট্টগ্রামকে তাদের বলে দাবি করে, আমরাওতো সিরাজউদ্দৌলার পশ্চিমবঙ্গকে দাবি করতে পারি। সেটাও বাংলাদেশের অংশ। আজকে লং মার্চের মাধ্যমে যদি আপনাদের সুবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে আমরাও দেশের পাহারায় থাকব। তাই বলছি বাংলাদেশের প্রতি রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ নেই। আগস্ট বিপ্লবে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ সেটি প্রমাণ করেছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দরের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসএম জিলানী আরও বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য নিজেকে সব সময় গণতান্ত্রিক দাবি করে। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নষ্ট করার জন্য ভারত প্রতিবার ষড়যন্ত্র করে আসছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত বারবার হস্তক্ষেপ করেছে। শুধু তাই নয়, ভারত সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশের জনগণকে গুলি করে হত্যা করেছে। অনতিবিলম্বে ভারত সীমান্তে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। ভারতকে বাংলাদেশ থেকে ইলিশসহ নানা কিছু উপহার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বদলে ভারত আমাদের সাথে অসদাচরণ করে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে এই লং মার্চের আয়োজন করে। 

মাজহারুল করিম অভি/আরএআর